বুধবার, ২০ মার্চ, ২০১৩

জাহেলিয়্যাত, ফাসেকী, ভ্রষ্টতা ও রিদ্দাত: অর্থ, প্রকারভেদ ও আহকাম


লেখক: সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান অনুবাদক: মোহাম্মদ মানজুরে ইলাহী

এক - জাহেলিয়াত

আল্লাহ্, তাঁর রাসূলগণ দ্বীনের আইন-কানুন সম্পর্কে অজ্ঞতা, বংশ নিয়ে গর্ব-অহংকার বড়াই প্রভৃতি যে সকল অবস্থার উপর আরবের লোকেরা ইসলাম পূর্ব যুগে ব্যাপৃত ছিল, সে সকল অবস্থাকেই জাহেলিয়াত নামে অভিহিত করা হয় []
জাহেলিয়াতজাহলশব্দের প্রতি সম্পকির্ত, যার অর্থ জ্ঞানহীনতা বা জ্ঞানের অনুসরণ না করা
শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: যার হকের জ্ঞান নেই সে এক প্রকার অজ্ঞতায় নিমজ্জিত যদি কেউ হক সম্পর্কে জেনে কিংবা না জেনে হকের পরিপন্থী কথা বলে সেও জাহেল...
উপরের কথাগুলি স্পষ্ট হবার পর জানা দরকার যে, রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম এর নবুওয়াত প্রাপ্তির পূর্বে লোকেরা এমন জাহেলিয়াতেই নিমজ্জিত ছিল, যা আরিক অর্থেইজাহেলতথা অজ্ঞতার প্রতি সম্পর্কিত কেননা তাদের মধ্যে যে কথা কাজের প্রচলন ছিল, তা ছিল জাহেল অজ্ঞ লোকেরই সৃষ্ট এবং অজ্ঞ লোকেরাই তা করে বেড়াত অনুরূপভাবে বিভিন্ন যুগে নবী রাসূলগণ যে শরীয়ত নিয়ে এসেছিলেন যেমন ইহুদী ধর্ম খৃষ্টান র্ধম, তার বিপরীত সব কিছুই জাহেলিয়াতের অন্তর্গত একে বলা চলে ব্যাপক মহা জাহেলিয়াত
তবে রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামের নবুওয়াত প্রাপ্তির পর জাহেলিয়াতের সেই ব্যাপকতা আর নেই বরং কোথাও তা আছে, কোথাও নেই যেমনদারুল কুফুরবা কাফিরদের রাষ্ট্রে তা আছে আবার কারো মধ্যে নেই যেমন ইসলাম গ্রহণের পূর্বে যে কোন ব্যক্তি জাহেলিয়াতের মধ্যে নিমজ্জিত থাকে, যদিও সেদারুল ইসলামবা ইসলামী রাষ্ট্রে অবস্থান করে তবে মুহাম্মদ সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামের নবুয়াত প্রাপ্তির পর অবাধভাবে কোন যুগকে জাহেলিয়াতে নিমজ্জিত বলা যাবেনা কেননা কিয়ামত পর্যন্ত প্রত্যেক যুগে উম্মাতে মোহাম্মদীর একদল লোক হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে অবশ্য কিছু কিছু মুসলিম দেশে বহু মুসলিম ব্যক্তির মধ্যেই সীমিত আকারে জাহেলিয়াত পাওয়া যেতে পারে যেমন রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেনঃ

أرْبَعٌ فِيْ أمَّتِيْ مِنْ أمْرِ الجَاهِلِيَّةِ

আমার উম্মাতের মধ্যে চারটি বস্তু জাহেলিয়ারেত অন্তর্গত []
একবার তিনি আবুযর রাদি আলাহু আনহুকে বলেনঃ

إنَّكَ امْرُؤٌ فِيْكَ جَاهِلِيَّةٌ 

তুমি এমন এক ব্যক্তি যার মধ্যে (এখনও) জাহেলিয়াত রয়ে গেছে’ []
অনুরূপ আরো অনেক দলীল রয়েছে []
সারকথা: জাহেলিয়াতজাহলবা অজ্ঞ শব্দের প্রতি সম্পর্কিত এর অর্থ জ্ঞানহীনতা জাহেলিয়াত দুভাগে বিভক্ত:
. ব্যাপক অবাধ জাহেলিয়াত:
প্রকার জাহেলিয়াত দ্বারা রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামের নবুওয়াতের আগের যুগ অবস্থা বুঝানো হয়েছে নবুওয়াত প্রাপ্তির সাথে সাথে প্রকার জাহেলিয়াতের অবসান হয়েছে
. নির্দিষ্ট সীমিত জাহেলিয়াত:
প্রকারের জাহেলিয়াত সব যুগেই কোন না কোন দেশে, কোন না কোন শহরে এবং কতেক ব্যক্তির মধ্যে বিরাজমান থাকতে পারে একথা দ্বারা সব লোকের ভূল স্পষ্ট হয়ে উঠে যারা বর্তমান যুগেও অবাধ ব্যাপক জাহেলিয়াতের অস্তিত্ব আছে বলে মনে করে এবং বলেএই শতাব্দীর জাহেলিয়াতইত্যাদি নানা কথা অথচ সঠিক হল এরকম বলা: ‘এই শতাব্দীর কতেক লোকদের বা এই শতাব্দীর অধিকাংশ লোকদের জাহেলিয়াতঅতএব ব্যাপক জাহেলিয়াতের অস্তিত্ত্বের ধারণা সঠিক নয় এবং এরকম বলাও জায়েয নয় কেননা নবী সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামের নবুয়াত প্রাপ্তি দ্বারা ব্যাপক জাহেলিয়াত অবসান হয়েছে

দুই- ফাসেকী 

অভিধানেফিসকশব্দের অর্থ হল বের হওয়া আর শরীয়তের পরিভাষায় তাহলো আলাহর আনুগত্য হতে বের হয়ে যাওয়া পুরোপুরি বের হয়ে যাওয়া যেমন এতে শামিল রয়েছে, এজন্য কাফিরকেও ফাসিক বলা হয় আবার আংশিকভাবে বের হওয়া এর অন্তর্ভক্ত তাই কবীরা গুনাহে লিপ্ত ুমিন ব্যক্তিকে ফাসিক বলা হয়
ফিসক দুভাগে বিভক্ত:
. প্রকারের ফিসক বান্দাকে ইসলামী মিলাত থেকে বের করে দেয় এধরনের ফিসক মূলত: কুূফুরী এজন্য কাফিরকে ফাসিক নামে অভিহিত করা হয় আলাহ তাআলা ইবলিসের ব্যাপারে বলেন:

...فَفَسَقَ عَنْ أَمْرِ رَبِّهِ 

অত:পর সে স্বীয় প্রভুর নির্দেশ অমান্য করল []
আয়াতে বর্ণিত ইবলিসের এই ফিসক ছিল মূলত: কুফুরী আলাহ তাআলা বলেন:

وَأَمَّا الَّذِينَ فَسَقُوا فَمَأْوَاهُمُ النَّارُ 

আর যারা ফাসেকী করে, তাদের ঠিকানা হল জাহান্নাম []
আয়াতে কাফিরদের অবস্থা বর্ণনাই আলাহর উদ্দেশ্য এর দলীল হল আয়াতের পরের অংশটুকু:

كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا أُعِيدُوا فِيهَا وَقِيلَ لَهُمْ ذُوقُوا عَذَابَ النَّارِ الَّذِي كُنْتُمْ بِهِ تُكَذِّبُونَ 

যখনই তারা জাহান্নাম হতে বের হতে চাইবে তখনই তাদেরকে তথায় ফিরিয়ে দেয়া হবে এবং তাদেরকে বলা হবে, তোমরা জাহান্নামের যে আযাবকে মিথ্যা বলতে, তার স্বাদ আস্বাদান কর’ []
. গোনাহগার বান্দাদেরকে ফাসেক বলা হয় তবে তার ফাসেকী তাকে ইসলাম থেকে বের করে দেয়না আলাহ তাআলা বলেন:

وَالَّذِينَ يَرْمُونَ الْمُحْصَنَاتِ ثُمَّ لَمْ يَأْتُوا بِأَرْبَعَةِ شُهَدَاءَ فَاجْلِدُوهُمْ ثَمَانِينَ جَلْدَةً وَلَا تَقْبَلُوا لَهُمْ شَهَادَةً أَبَدًا وَأُولَئِكَ هُمُ الْفَاسِقُونَ 

যারা সতী- সাধ্বী নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে অত:পর স্বপে চারজন পুরুষ সাী উপস্থিত করেনা, তারেদকে আশিটি বেত্রাঘাত করবে এবং কখনও তাদের স্যা কবুল করবেনা এরাই ফাসিক (নাফরমান অবাধ্য) []
আলাহ আরো বলেন:

الْحَجُّ أَشْهُرٌ مَعْلُومَاتٌ فَمَنْ فَرَضَ فِيهِنَّ الْحَجَّ فَلَا رَفَثَ وَلَا فُسُوقَ وَلَا جِدَالَ فِي الْحَجِّ

অত:পর যে কেউ হজ্বের এই মাস গুলিতে হজ্ব করার নিয়্যাত করবে, তার জন্য হজ্জের সময় স্ত্রী সম্ভোগ, ফাসেকী কলহ-বিবাদ বিধেয় নয়’ []
আয়াতে ফাসেকী শব্দের ব্যাখ্যায় উলামাগণ বলেন: এর অর্থ পাপাচার তথা গোনাহের কাজ [১০]
তিনদালাল ( ভ্রষ্টতা)
আরবীতে ভ্রষ্টতার প্রতিশব্দ হলالضلال যার অর্থ সরল পথ থেকে বিচ্যুত হওয়া এটি হেদায়াতের বিপরীত শব্দ আলাহ তায়ালা বলেন:

مَنِ اهْتَدَى فَإِنَّمَا يَهْتَدِي لِنَفْسِهِ وَمَنْ ضَلَّ فَإِنَّمَا يَضِلُّ عَلَيْهَا 

যারা ৎপথে চলে, তারা নিজেদের মঙ্গলের জন্যই ৎপথে চলে আর যারা পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজেদের অমঙ্গলের জন্যই পথভ্রষ্ট হয়’ [১১]
ভ্রষ্টতার অনেকগুলো অর্থ রয়েছে:
. কখনো তা কুফুরীর অর্থে ব্যবহৃত হয় আলাহ তাআলা বলেন:

وَمَنْ يَكْفُرْ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا 

যে ব্যক্তি আলাহ, তাঁর ফেরেস্তাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ এবং রাসূলগণ আখিরাত দিবসকে অস্বীকার করবে, সে ভীষণ ভাবে পথভ্রষ্ট হয়ে পড়বে’ [১২]
. কখনো তা শিরকের অর্থে ব্যবহৃত হয়
আলাহ তাআলা বলেন:

وَمَنْ يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلَالًا بَعِيدًا

যে আলাহর সাথে শরীক করে , সে সুদূর ভ্রান্তিতে পতিত হয়’ [১৩]
. কখনো তা কুফুরী নয়, এমন পর্যায়ের বিরোধিতার অর্থে ব্যবহৃত হয় যেমন বলা হয় ভ্রষ্ট ফির্কাসমূহ অর্থা হক-বিরোধী ফির্কাসমূহ
. কখনো তা ভুল-ত্রুটি করার অর্থে ব্যবহৃত হয় যেমন মূসা আলাইহিস সালামের কথা কুরআনের ভাষায় এভাবে বর্ণিত হয়েছে:

قَالَ فَعَلْتُهَا إِذًا وَأَنَا مِنَ الضَّالِّينَ 

মূসা বললেন: আমি তো সে অপরাধ করেছিলাম তখন, যখন ছিলাম অনবধান’ [১৪]
. কখনো তা বিস্মৃত হওয়া ভুলে যাওয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয়
যেমন আলাহ বলেন:

أَنْ تَضِلَّ إِحْدَاهُمَا فَتُذَكِّرَ إِحْدَاهُمَا الْأُخْرَى .سورة البقرة 

যাতে মহিলাদের একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেবে [১৫]
. কখনো ضلال (ভ্রষ্টতা) শব্দটি অগোচর হওয়া হারিয়ে যাওয়ার অর্থে ব্যবহৃত হয় যেমন আরবগণ বলে ضالة الإبل অর্থা হারানো উট [১৬]

চার - রিদ্দাত(মুরতাদ হওয়া) এর প্রকারভেদ বিধান


অভিধানে রিদ্দাত শব্দটির অর্থ ফিরে যাওয়া আলাহ তাআলা বলেন:

وَلَا تَرْتَدُّوا عَلَى أَدْبَارِكُمْ فَتَنْقَلِبُوا خَاسِرِينَ

আর পেছনে দিকে ফিরে যেও না’ [১৭]
আর ফিকহের পরিভাষায় ইসলাম গ্রহণের পর কুফুরীর দিকে ফিরে যাওয়াকে রিদ্দাত বলা হয়
আলাহ তাআলা বলেন:

وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالْآَخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ 

এবং তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের দ্বীন থেকে ফিরে যাবে এবং কাফির অবস্থায় মৃত্যুমুখে পতিত হবে, দুনিয়া আখিরাতে তাদের যাবতীয় আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে আর তারাই হল দোযখবাসী তাতে তারা চিরকাল বাস করবে [১৮]
রিদ্দাতের প্রকারভেদ: ইসলাম বিনষ্টকারী কোন কাজ করলে ব্যক্তির মধ্যে রিদ্দাত পাওয়া যায় অর্থা সে মুরতাদ হিসাবে গণ্য হয়
আর ইসলাম বিনষ্টকারী বস্তু অনেকগুলো, যাকে মূলত: চারভাগে ভাগ করা যায়:
. কথার রিদ্দত: যেমন আলাহ তাআলাকে, বা তাঁর রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালামকে কিংবা তার ফিরিস্তাগণকে অথবা পূর্ববর্তী কোন নবী-রাসূলকে গালি-গালাজ করা অথবা গায়েব জানার দাবী করা, কিংবা নবুওয়াতের দাবী করা, কিংবা নবুওয়াতের দাবীদারকে সত্যবাদী বলে মেনে নেয়া, অথবা গায়রুলার কাছে দোয়া করা, কিংবা যে বিষয়ে আলাহ ব্যতীত আর কেউ সম নয় সে বিষয়ে গায়রুলাহ সাহায্য চাওয়া আশ্রয় প্রার্থনা করা
. কাজের রিদ্দত: যেমন মূর্তি, গাছ-পালা, পাথর এবং কবরের উদ্দেশ্যে সিজদা করা কুরবানী করা, নিকৃষ্ট স্থানে কুরআন মাজীদ রাখা, যাদু করা এবং তা শিখা অন্যকে শিখানো, হালাল জায়েয মনে করে আলাহর অবতারিত শরীয়তের পরিবর্তে অন্য আইন-কানুন দ্বারা ফায়সালা করা
. আক্বীদার রিদ্দাত: যেমন এরূপ আক্বীদা পোষণ করা যে, আলাহর শরীক আছে কিংবা যিনা, মদ সূদ হালাল অথবা রুটি হারাম, অথবা নামায পড়া ওয়াজিব নয় প্রভৃতি ধরনের আরো যেসব বিষয়ের হালাল বা হারাম হওয়া কিংবা ওয়াজিব হওয়ার উপর উম্মাতের অকাট্য ইজমা সাধিত হয়েছে এবং এরূপ লোকের তা অজানা থাকার কথা নয়
. উপরোক্ত কোন বিষয়ে সন্দেহ পোষণ রিদ্দাত: যেমন শিরক হারাম হওয়ার ব্যাপারে কিংবা যিনা মদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে অথবা রুটি হালাল হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা, নবী সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম কিংবা অন্য কোন নবীর রিসালাতে বা সত্যতায় সন্দেহ রাখা, অথবা ইসলামের ব্যাপারে কিংবা বর্তমানে যুগে ইসলামের উপযোগিতার ব্যাপারে সন্দেহ পোষণ করা

রিদ্দাত সাব্যস্ত হওয়ার পর এর হুকুম:

. মুরতাদ ব্যক্তিকে তাওবা করার আহবান জানানো হবে যদি সে তিন দিনের মধ্যে তাওবা করে ইসলামের দিকে প্রত্যাবর্তন করে, তবে তার তওবা কবুল করা হবে এবং তাকে ছেড়ে দেয়া হবে
. যদি সে তাওবা করেত অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করে, তবে তাকে হত্যা করা ওয়াজিব (ইসলামী সরকারের জন্য) কেননা রাসূল সালালাহু আলাইহি ওয়া সালাম বলেছেন:

مَنْ بَدَّلَ دِيْنَهُ فَاقْتُلُوْهُ

যে ব্যক্তি তার দ্বীনকে পরিবর্তন করে তাকে হত্যা কর’ [১৯]
. তাওবার দিকে আহবানকালীন সময়ে তাকে তার সম্পদে হস্তপে করা থেকে বিরত রাখা হবে যদি সে পুনরায় ইসলাম গ্রহণ করে, তবে সে সম্পদ তারই থাকবে অন্যথায় রিদ্দাতের উপর তার মৃত্যু হলে কিংবা তাকে হত্যা করা হলে , তখন থেকে সে সম্পত্তি মুসলমানদের বায়তুল মালেফাইহিসাবে অন্তর্ভূক্ত হয়ে যাবে কারো কারো মতে মুরতাদ হওয়ার সাথে সাথেই তার ধন- সম্পদ মুসলমানদের কল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করা হবে
. মুরতাদ ব্যক্তির উত্তরাধিকার স্বত্ব বাতিল হয়ে যাবে অর্থা সে তার আত্মীয় স্বজনের ওয়ারিস হবে না এবং তার কোন আত্মীয়ও তার ওয়ারিস হবে না
. যদি সে মুরতাদ অবস্থায় মারা যায় কিংবা নিহত হয়, তবে তাকে গোসল দেয়া হবে না, তার উপর জানাযার নামায পড়া হবে না এবং তাকে মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করা যাবে না বরং তাকে কাফিরদের সমাথিস্থলে দাফন করা হবে কিংবা মুসলমানদের কবরস্থান ছাড়া অন্য কোথাও মাটির নীচে তাকে সমধিস্থ করা হবে
সমাপ্ত
[] আন- নিহায়াঃ ইবনুল আসীর ১ম খন্ড পৃঃ ৩২৩
[] মুসলিম
[] বুখারী, মুসলিম
[] ইকতিদাউসসিরাতুল মুসতাকীম, ১ম খন্ড পৃ:
[] সূরা কাহফ, ৫০
[সূরা সিজদা, ২০
[সূরা সিজদা, ২০
[সূরা আন-নূর, ০৪
[সূরা বাকারা, ১৯৭
[১০কিতাবুল ঈমান: শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া, ২৭৮
[১১সূরা ইসরা, ১৫
[১২সূরা: নিসা, ১৩৬
[১৩সূরা নিসা, ১১৬
[১৪সূরা আশ-শুআরা: ২০
[১৫সূরা বাকারা, ২৮২
[১৬আল মুফরাদাত, রাগিব ইস্পাহানী, ২৯৭-২৯৮
[১৭সূরা মায়েদা, ২১
[১৮সূরা বাকারা, ২১৭
[১৯বুখারী, আবুদাউদ 
ৎসঃ ইসলাম হাউজ ডট কম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন